শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

২৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পেলো দুদক !!!! ইউনিপে টু ইউ


ইউনিপেটুউ’র বিরুদ্ধে কোম্পানি আইনের পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৫০ কোটি ১৫ লাখ ৩ হাজার ৪৫৫ টাকা সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১লা নভেম্বর থেকে ২০১০ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির ৩টি ব্যাংক একাউন্টে অবৈধ উপায়ে এ টাকা জমা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ২৩৭ টাকা উঠিয়ে ৩২ দশমিক ৫ ভাগ হারে সদস্যদেরকে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৫২ টাকা কমিশন দেয়া হয়েছে। পরে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ টাকা ব্যক্তিগত খাতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউনেপেটুউ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির হোসেন এবং চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান শাহীনকে আসামি করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯-এর ৪(২) ধারা অনুযায়ী একটি মামলার এজাহার তৈরি করেছে দুদক। গত সোমবার এ মামলাটি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করায় এর আগের দিন আদালত থেকে একটি স্থগিতাদেশ দেয়। এ কারণে দুদক এখন মামলাটি দায়ের করতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। দুদক ইনজীবী এডভোকেট আনিসুল হককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থগিতাদেশ বাতিলের সঙ্গে সঙ্গেই মামলা করা হবে। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি ২০০৯ সালের ১১ই অক্টোবর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত হয়ে এমএলএম পদ্ধতির কাল্পনিক মেথড প্রয়োগ করে মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ প্যাকেজসহ কল্পিত স্বর্ণে নির্দিষ্ট সংখ্যক টাকা বিনিয়োগে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে। এর মাধ্যমে সদস্যরা ৪৫৫০ টাকা বিনিয়োগে ১ দিনে ১০,৫০০ টাকা, ৩৬,৪০০ টাকা বিনিয়োগে ১ দিনে ৮৪ হাজার টাকা আয় করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। গত ২৩শে জুন থেকে দুদক বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ১৩ই অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও দুদককে চিঠি দেয়া হয়। পাশাপাশি কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত একাউন্ট এবং ইউনেপেটুউ’র ৩টি একাউন্টসহ ৯টি একাউন্টের রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদক দেখতে পায়, ২০১০ সালের ১৩ই মে থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিটি ব্যাংক নিউ মার্কেট শাখার হিসাব নম্বর ১৪০১১৫০৬৫৯০০১, এনসিসি ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখার হিসাব নম্বর ০০৬৯-০২১০০০০৩২৬ এবং ব্র্যাক ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখার ১৫৩৫২০১৬৯০১৪৮০০১ নম্বর হিসাবে জমা হয় প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১লা নভেম্বর থেকে ২০১০ সালের ১৩ই মে পর্যন্ত সময়ে কোম্পানি, কোম্পানি চেয়ারম্যান ও এমডি এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি একাউন্টে ৫৩ কোটি ৩২ লাখ ৯৩ হাজার ২৭৫ টাকা জমা হয়। সদস্য ও এজেন্টদের সাড়ে ৩২ ভাগ হারে কমিশন দিতে হলে ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৩১৪ টাকা উত্তোলন হওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে উত্তোলিত টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ২ লাখ ৮৮ হাজার ২২১ দশমিক ৪০ টাকা। গত বছরের ৭ই জুলাই থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৩টি একাউন্টে জমা হয় ১৯২ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৮০ টাকা। এ টাকার ওপর সাড়ে ৩২ ভাগ হারে গ্রাহকদেরকে কমিশন দিতে হলে ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ৩ হাজার ৩০৮ টাকা উত্তোলন করার কথা। এ পর্যায়ে উত্তোলন করা হয়েছে ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৬৬২ টাকা। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মাসিক খরচ ও কমিশন প্রদান বাবদ ৩ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি রয়েছে। দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আগ পর্যন্ত (১ই মে ২০১০) গত ৬ মাসে ১৯ কোটি ২ লাখ ৮৮ হাজার ২২১ দশমিক ৪০ টাকার বিপরীতে কমিশন বাবদ উত্তোলিত হলে গাণিতিক হিসেবে উত্তোলন করা যায় ৬ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭১ টাকা। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২ কোটি ৮৪ হাজার ৪৫ হাজার ৫৫০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানির একাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা স্থানান্তর বিষয়ে মুনতাসির হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে দুদকের অনুসন্ধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড-পত্রের গরমিল রয়েছে। অন্যদিকে শহীদুজ্জামান শাহীন কোম্পানির একাউন্টের টাকা ব্যক্তিগত একাউন্টে নেয়া এবং ব্যক্তিগত খাতে ব্যবহারের বিষয়ে কোন দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। এ বিষয়ে ইউনেপেটুউ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসির হোসেন জানান, আমাদের কোম্পানির একাউন্ট খুবই শার্প। দুদক আমাদের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চেয়েছে আমরা সব ধরনের সহযোগিতাই করেছি। যখন ডাকে তখনই দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব কাগজপত্র চেয়েছে সব কাগজপত্রই দিয়েছি। তারা আমাদের কোম্পানির ৩টি এবং কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ৬টিসহ সদস্যদের মোট ১১৬টি একাউন্ট ফ্রিজ করেছিল। তার নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে অনুসন্ধানকাজ শেষ করতে না পরায় আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অসুবিধা হচ্ছিল। এ কারণে আমরা আদালতের আশ্রয় নিই। আদালতের কাছ থেকে আমরা ১৫ দিন সময় পেয়েছি। দুদক যদি মামলা করে সেটা হবে হয়রানিমূলক। আদালতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করে আমরা তা মোকাবিলা করবো। ৪৫ দিনের মধ্যে অনুসন্ধানকাজ শেষ না করা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানান, ৪৫ দিনের মধ্যেই যে অনুসন্ধানকাজ শেষ করতে হবে তা বাধ্যতামূলক নয়

ইউনিপে সংলাপ

- কি অবস্তা? বালানি দোস্ত?

- কিরে, আছস ক্যামন?

- ফাইন! তুই? কই?

- ভালো, কই?

- কি করস?

- অফিসে? তুই জব করতেছিস?

- নাহ, বিজনেস করি, এমবিএ আর সিএমএ ।(বাবাগো! এ দেহি জিনিয়াসের বাপ!)

- গুড। কিসের বিজনেস রে?

- তেমন কিছু না, অনলাইন বিজনেস, চরম বিজনেস!

- ক্যামন?

- ৪২০০০ ইনভেস্ট করেছি, মে বি নিয়ম শুনছোস...ইউনিপে

- হুম

- মাসে ৮০০০+ আদারস মিলিয়ে = ১৫০০০....বা ২০০০০ আসে।

- ঐটা তো বন্ধ করে দিবে!

- ১০ মাসে নিশ্চিত ডাবল! হা হা হা! বোকা, নাহ!

- মন্ত্রী বলেছে।

- ঐ মন্ত্রীর ও ইনভেস্ট আছে। এমনকি শেখ সেলিম এর ও ইনভেস্ট আছে।

- তাই?

- হুমম ম।

- ভালো

- এইটা ব্রেইন ওয়াস।

- বন্ধ না হলেই তো ভালো। ব্যবসা কর। ভালো লাগবে আমার।

- ইউনিপে তে আমার এক ফ্রেন্ড ৪২০০০ দিয়ে শুরু করেছিলো, ১ বছরে তার এখন ১ লাখ টাকা ক্যাপিটাল।

- খাইছে! কে সে? পা ছুইয়া চুম্মা খাইতে মন চায়!

- আমি এই ব্যাপারটা জানি ১ বছর আগে। তখন বিশ্বাস করিনাই। এখন জানি ভুল করেছিলাম।

- হুম

- লাস্ট মান্থে আমার ইনকাম হৈছে ২০০০০ টাকা।

- কতো ইনভেস্ট করছস কইলি? ঈমানে দোস্ত?

- আমার একসাইড আমার আপলাইন ডেভেলপ করে দিছে।

- হুম। কয় মাস হইলো?

- ২ মাস চলতেছে।

- গ্রেইট!

- বাট চাইলে ১ বছর আগে আমি ইনভল্ব হইতে পারতাম, তখন বুঝিনাই।

- তাহলে তো বছরের মাঝে লাখপতি।

- এই কারণে আমি ফকির আর আমার ফ্রেন্ড বড়লোক।

- হুম। মাম্মা। এক কাম করতে পারবি?

- ইনশাল্লাহ, আমার টার্গেট ১ বছরে ৮লাখ এটলিস্ট!

- আমিও ইনভেস্ট করতে চাই।

- কি বল, তারপর?

- মাগার হাতে তো টাকা পয়সা নাই।আমারে কিছু ধার দে। তারপর আমার টাকা আসলে তুই নিয়ে নিস।

- তাইলে তো আমিই ইনভেস্ট করতে পারি।

- সাম্নের মাসেই তো ২০ পাবো
তাই না?
ওহ হ
তাই তো
আমারে হেল্প কর
একা একা বড়লোক হবি?


- যদি তোর নেটওয়ার্ক ভালো চলে, তাহলে ২০০০০ না, ১ লাখ ও পেতে পারিস।

- হুম। আমাদের ফ্রেন্ড দের মাঝে আর কেউ করেছে?

- ইটস পসিবল। দেখ তোর ইনভেস্টর যদি ২১২০০০ টাকা ইনভেস্ট করে, তাহলে তুই পাবি ২০০০০, এইরকম দুইটা করলে পাবি ৬০০০০ টাকা। সুতরাং কঠিন কিছু না।

- ২ লাখ? এতো কই পামু? ২০ হাজার করলে?

- যারা দুই লাখ ১২ হাজার করে তারা পায় মাসে ৪৬০০০ টাকা ফিক্সড। তুই টাকা না থাকলে একাউন্ট খুলেও বিজনেস করতে পারবি।

- তাই?

- ৪৫৫০ টাকা লাগবে।

- ক্যামন? বাহ! তারপর?

- তুই যদি ইনভেস্টর দেস, তাহলে তুই ইনস্ট্যান্ট টাকা+ম্যাচিং পাবি।

- ক্যামন?

- ধর, ২১০০০ এ ২০০০, ৪২০০০ এ ৪০০০, ৭২০০০ এ ৭০০০, ১২৩০০০ এ ১৪০০০, ২১২০০০ এ ২০০০০ টাকা।

- ওরে বাবারে।
টাকাই টাকা।
মাথা ঘুরতাছে।
খাড়া,
বিড়ি খায়া লই।

- আর যারা ইনভেস্ট করবে ওরা প্রতি মাসে পাবে ২১০০০ এ ৪০০০, ৪২০০০ এ ৮০০০ টাকা, ৭২০০০ হাজার এ ১৪০০০, ১২৩০০০ এ ১৮০০০ আর ২১২০০০ এ ৪৬০০০ টাকা। আর ম্যাচিং আর ইনস্ট্যান্ট তো আছেই।

- কিন্তু এতো টাকা কই থেইকা দিবে?

- তোর টাকা আমার টাকা থেকে, এভেবে বোঝানো যাবে না। অফিসে আয়। ওরা আসলে গোল্ডের বিজনেস করে। ২১০০০ টাকা ইনভেস্ট করতেও পারিস, ৪০০০ টাকা প্রতি মাসে। কৈ গেলি? আছিস?

- আছি, বল। শুন্তেছি।

- এই হৈলো অবস্থা।

- গোল্ড এর বিজনেস ঠিক বুঝলাম না
চোরাচালান নাকি বাবা?

- যদি টাকার দরকার হয়, তাহলে করতে পারিস। না হলে দরকার নাই। আমার দরকার তাই করি।

- গুড! গোল্ড এর বিজনেস টা ক্যামন?

- ভালো।

- আরেহ
গোল্ড এর বিজনেস ক্যমন কইরা কি করে
বুঝলাম নাতো
ইক্টু বুঝায়া ক
ভালো লাগতেছে শুনতে

- আমাদের ইনভেস্ট, ওদের বিজনেস।

- টাকার কথা শুনলেই ভালো লাগে
হুম
২১০০০ টাকা ইনভেস্ট করলেই ২০০০ হাজার লাভ হয়?

- ওরা র গোল্ড কিনে ঐটারে ওয়ার্ড মার্কেটে রোলিং করায়।

- তাহলে ওরা তো ওদের লাভ রাখে
তাই না?
হুম
এইটা তো আমরাও করতে পারি

- ২১০০০ এর ইনভেস্টর পায় ৪০০০ টাকা। (ঐ হালার পো, এক কথা কয়বার কবি? শুনছি তো ১০ বার! )

- ইন্টারন্যশনাল বিজনেস ম্যান হইয়া যামু
বাবারে

- তোর কতো টাকা আছে? তুই গোল্ড কিনে বিজনেস করতে পারবি? বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লাগে।

- হুম
আমরা ফ্রেন্ড আছি ৮০ জন
আমরা সবাই মিলে করতে পারি না?

- কিসের বিজনেস?

- এই বিজনেস

- তুই শুরু কর, সব ই হবে।

- হা হা হা
আমার একার দ্বারা তো হবে না
তাই না

- হুম।

- ৮০ জন একসাথে প্ল্যান করলে ঠিকি হবে
তাই না?

- হুম, ইউনিটি, হুম! ( হুমাইতে থাক বেটা! এইবার তোর হুমানোর পালা)

- কি বলিস?
তাহলে যে লাভ ওরা নিচ্ছে, সেই লাভ টুকুও আমরা পাবো।

- দোস্ত, আমি এখন যামু, আমার একটা ইনভেস্ট আছে ৪২০০০ এর। উত্তরা যামু।

- আচ্ছা দোস্ত।
বেস্ট অফ লাক। তুই কোটি পতি হ, আমিও কইতে পারুম আমার দোস্ত কোটিপতি।

- সবাই বেনিফিটেড হবে, আমি আর তুই শুধু না।
থ্যাংক্স, বলিস, বাই বাই।

- বাই।

- আসসালামু আলাইকুম।

- ওয়ালাইকুমুস সালাম।

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১০

নেইতো আমি আর - মুনিরা চৌধুরি

নেইতো আমি আর,
গগন মেঘের কিছু জল।
কেউতো চাইলেই ঝরবো ঝরঝর,
মুছিয়ে দিতে কারো দুঃখ কাজল।

নেইতো আমি আর,
বাগান ভরা শতদল।
চাইলেই ভরাবো হৃদয় কারো
হবো হাতে হাত বদল।

নেইতো আমি আর,
জলধীর জলের মত টলমল।
কাঁদলেই কেউ ধুঁয়ে দেবো সব
নয়নে ব্যথার ছলছল।

মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০

সত্যি বলছি



তুমি সুন্দর বলে খুব হিংসে হয়
মনে হয় গোলাপের সৌন্দর্যে ভাগ বসিয়েছ
যাই হোকনা কেন
তুমি গোলাপের চেয়ে একটু বেশি সুন্দর
সত্যি বলছি
আচ্ছা তু হাসছ কেন ?
আমিতো হাসার মত কিছু বলিনি
হাসলে তোমাকে সুন্দর দেখায়
তোমার ৩১ নম্বর দাঁতটা খুব সুন্দর
আসলে আমি ওটার প্রেমে পরেছি
গোলাপ তো আর অত সুন্দর করে হাসতে পারেনা
তোমার মত
আমি তোমার হাসি দেখতে চাই আজীবন
আমার নিজের স্বার্থে
তোমার ভাললাগার মাঝে যে
মিশে আছে আমার ভালবাসা
তার দুঃখ কি আমার সয়বে ?

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০

আমার কোন দুঃখ ছিল না - নিজাম কুতুবী




আমার নিজস্ব পৃথিবীতে শুধু সুখ ছিল
দুঃখ গুলো জমিয়ে রাখতাম ঝিমধরা পৌরাণিক বুকের ভেতর।
আমার ভেতর কোন নদী ছিল না,
চোখে বৃষ্টি ছিল না।
আমার কোন দুঃখ ছিল না।
দুঃখ গুলো প্রেতাত্মার নিঃশ্বাসের মতো
আমার রক্তের শিরায় শিরায় সাঁতরে বেড়াতো।
যুগ যুগ ধরে সেখানে জমেছিল
কবরের মুর্দাগন্ধ সুদা মাটি
জীবীত কালে দুঃখের ভেতর দিয়ে
একটা অনন্ত মধ্যরাত আমি পার করেছি।
একরত্তি সুখ সৌন্দর্যের লোভে আমি হেঁটে এসেছি
যুগ যুগ ধরে অন্ধকার পথে...
কিন্তু পায় নি_____
সুখের সাগরে ভাসিনি।
তাই বলে আমার কোন দুঃখ ছিল না!!
আমি অনুভব করি
আমার পৌরাণিক বুকের দুঃখ গুলো সুখ হয়ে
আমার করতল ফুঁড়ে বিদ্যুৎ বেগে ঢুকে পড়ল
_____আমার ভেতর
একটা মেঘল-সুঘ্রাণ নিয়ে মিশে গেল
আমার রক্ত কণিকায়
শরীরের সব গুলো শিরা-ধমণী দিয়ে
প্রবাহিত হতে থাকল অমল উদ্দামে।
লোহিত শ্বেত কণিকার কষ্ট গুলো
মূহুর্তেই বদলে গেল সুখ প্লাবনের বরষায়।।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন